আবার ফিরে লড়তে রাজি
~রাতুল মন্ডল
জানিনা কোন দধিচির তপস্যায় তৈরি তোমার মন,
সমাজের কাছে যখন আমি পরিত্যায্য, পরিস্থিতি যখন আমার দুর্বলতার সুযোগ নিতে ব্যাস্ত,বাস্তবতা যখন প্রিয়জন কেড়ে নেয়,সময় যখন মানুষ চেনায়,জীবন যখন চ্যালেঞ্জ করে,লড়াই যখন কোণ খুজে নেয়,শরীর যখন একলা ঘরে অন্ধকারকে সঙ্গী করে,চোখের কোণে বাষ্প জমে নিসঙ্গতা মরণ টানে,
হঠাত্ তখন চমকে উঠি,রিসিভ করি বাবার ফোন.
আবার সাপোর্ট,আবার সীটি,আঙ্গুল ধরে লড়তে শিখি.
সঙ্গ তোমার সব ভুলিয়ে,আমায় আবার জন্ম দেয়. ।
ব্লগ সম্পর্কিয় কথা
স্বরচিত কবিতা এবং অনুগল্প পাঠান , সপ্তাহের সেরা নির্বাচিত লেখাগুলো ব্লগে পোস্ট করা হবে।
Friday, 1 June 2018
আবার ফিরে লড়তে রাজী
কিছুটা অলৌকিক
কিছুটা অলৌকিক
শোভন মণ্ডল
আচমকা নেমে আসছে গভীর জ্যোৎস্না
রাত জেগে জেগে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে কয়েকটি নার্সিসাস
যে বেশ্যা এখনও বিছানায় ছোঁয়নি কাউকে
তার দীর্ঘশ্বাস থেমে যাচ্ছে খাদের চরম সীমায়
সালভাদোর দালির মতো একটা ক্ষত বিক্ষত লোক শুয়ে আছে গাছের নীচে
গাছ মানে এখানে শুধু ছায়া
তার বেশি কিছু নয়
বহুক্ষণ ধরে পচা লাশের গন্ধ ছড়িয়ে আছে এখানে ওখানে
অথচ কোথাও কোন মৃতদেহ দেখা যাচ্ছেনা
সোঁদামাটি শুধু গায়ে মাখছে আগাছার জন্ম
রাত জেগে জেগে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে কয়েকটি নার্সিসাস
যে বেশ্যা এখনও বিছানায় ছোঁয়নি কাউকে
তার দীর্ঘশ্বাস থেমে যাচ্ছে খাদের চরম সীমায়
সালভাদোর দালির মতো একটা ক্ষত বিক্ষত লোক শুয়ে আছে গাছের নীচে
গাছ মানে এখানে শুধু ছায়া
তার বেশি কিছু নয়
বহুক্ষণ ধরে পচা লাশের গন্ধ ছড়িয়ে আছে এখানে ওখানে
অথচ কোথাও কোন মৃতদেহ দেখা যাচ্ছেনা
সোঁদামাটি শুধু গায়ে মাখছে আগাছার জন্ম
আর বহুদূর থেকে ভেসে আসছে ভাঙা জাহাজের অলৌকিক কান্না।
সুপ্রিয় মন্ডলের দুটি কবিতা
১)
।।।মনের ক্যানভাস।।।
--সুপ্রিয় মন্ডল!!!
।।।মনের ক্যানভাস।।।
--সুপ্রিয় মন্ডল!!!
হাল্কা গরম ও হালকা শীতের উষ্ণতায়
গুটিয়ে আছে আমার শরীর,,,
পাশবালিশের মাঝে রেখে
যাওয়া আমার কাঁচা ঘুম,
খালি পায়ে আবছা ভোরবেলা,
এঁকে দিয়ে যায় কত চিহ্ন,
সব কারসাজি ওই ভোরের নদীর!!
তারই মাঝে হঠাৎ আদুরে রোদের
লীলাখেলা দেখানোর ধুম!
গুটিয়ে আছে আমার শরীর,,,
পাশবালিশের মাঝে রেখে
যাওয়া আমার কাঁচা ঘুম,
খালি পায়ে আবছা ভোরবেলা,
এঁকে দিয়ে যায় কত চিহ্ন,
সব কারসাজি ওই ভোরের নদীর!!
তারই মাঝে হঠাৎ আদুরে রোদের
লীলাখেলা দেখানোর ধুম!
দূরের আকাশটা আজ
নীলিমা ধূসরে নিলীন,
বালির মধ্যে হাতড়ে বেড়াই
চোরাবালির অপূর্ব স্মৃতি,
আমার ডায়েরীর রঙ্গিন পাতায়
আঁকা কিছু ছবির মলিন,,
আঁখি বুজলেই তোমার
এক হালকা উপস্হিতি।।।
নীলিমা ধূসরে নিলীন,
বালির মধ্যে হাতড়ে বেড়াই
চোরাবালির অপূর্ব স্মৃতি,
আমার ডায়েরীর রঙ্গিন পাতায়
আঁকা কিছু ছবির মলিন,,
আঁখি বুজলেই তোমার
এক হালকা উপস্হিতি।।।
পুরানো স্মৃতি গুলো আজ
মন কঁরে কুঁরে খেয়ে যাচ্ছে
আমার শরীরের নরম মাংসলপিন্ড,
হয়তো আজ অসম্পূর্ণ সকালটা
শুধু তোমাকেএ ভাবাচ্ছে।
ভেবেও কোনো আত্মি মিটছে না,
ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস দিধাদিন্ড!
হয়তো বা তোমার অনুপস্থিতি মনের
ক্যানভাসটা আরো জীবন্ত করাচ্ছে।
মন কঁরে কুঁরে খেয়ে যাচ্ছে
আমার শরীরের নরম মাংসলপিন্ড,
হয়তো আজ অসম্পূর্ণ সকালটা
শুধু তোমাকেএ ভাবাচ্ছে।
ভেবেও কোনো আত্মি মিটছে না,
ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস দিধাদিন্ড!
হয়তো বা তোমার অনুপস্থিতি মনের
ক্যানভাসটা আরো জীবন্ত করাচ্ছে।
2)
$।।।গোলাপের প্রেমে।।।$
----সুপ্রিয় মন্ডল!!!
$।।।গোলাপের প্রেমে।।।$
----সুপ্রিয় মন্ডল!!!
গোলাপ চারায় জল দিতে এসে
মনে হলো তোমাকে দিলাম;
মুখখানা আঁজলা করে তাকিয়ে
রইছো তুমি, মুখে সেই মিষ্টি হাঁসি।
বুভুক্ষের মতো তোমার ওই
মিষ্টি হাঁসিখানি গিললাম;
ফুটে ওঠে গোলাপের কুঁড়ি,
আমিও তার ফুটন্ত রূপ দিতে
প্রতিনিয়ত তার কাছে আসি।।
মনে হলো তোমাকে দিলাম;
মুখখানা আঁজলা করে তাকিয়ে
রইছো তুমি, মুখে সেই মিষ্টি হাঁসি।
বুভুক্ষের মতো তোমার ওই
মিষ্টি হাঁসিখানি গিললাম;
ফুটে ওঠে গোলাপের কুঁড়ি,
আমিও তার ফুটন্ত রূপ দিতে
প্রতিনিয়ত তার কাছে আসি।।
মুঠো ভরে জল নিয়ে; গোলাপ
চারার টব-এর প্রান্ত ঘুরে মরি।
মেঘ করে এসেছে আজ, ভয় লাগে
এই বুঝি তোমায় যাবে নিয়ে;
কান্নাভেজা বুকে দু'হাতে
তোমায় আঁকড়ে ধরি।।
চারার টব-এর প্রান্ত ঘুরে মরি।
মেঘ করে এসেছে আজ, ভয় লাগে
এই বুঝি তোমায় যাবে নিয়ে;
কান্নাভেজা বুকে দু'হাতে
তোমায় আঁকড়ে ধরি।।
তুমি যেওনা কোথাও আমায় ছেড়ে;
আমার বুকেও থাকো প্রানের গাছ হয়ে।
ফুটন্ত পাপড়ি ধরে আলগোছে
জল খেতে পাবো তোমায় ঘেরে;
ঠিক যেমন তোমার বাঁ-দিকের
তিলের পাশে চিবুকের ভেজা ঘাম
যেতো আমার ঠোঁট ছুঁয়ে।।
আমার বুকেও থাকো প্রানের গাছ হয়ে।
ফুটন্ত পাপড়ি ধরে আলগোছে
জল খেতে পাবো তোমায় ঘেরে;
ঠিক যেমন তোমার বাঁ-দিকের
তিলের পাশে চিবুকের ভেজা ঘাম
যেতো আমার ঠোঁট ছুঁয়ে।।
আমার গোলাপ চারার ফুটন্ত কচি
পাতা গুলো মজেছে সানন্দে আজোসারি;
স্বজন হারায় পাতায় পাতায় রুদ্ধবাক্।
তোমার চিবুক মনে করে ফুটন্ত
পাপড়ির আলগোছে জল খেতে গিয়ে
ভিজে যায় আমার খোঁচা দাড়ি;
ছুটে যাবো তোমার চিবুক মনে করে
যখন'ই লাগবে একঘেয়ে তোমার
দিয়ো আমায় হালকা ডাক।।।
পাতা গুলো মজেছে সানন্দে আজোসারি;
স্বজন হারায় পাতায় পাতায় রুদ্ধবাক্।
তোমার চিবুক মনে করে ফুটন্ত
পাপড়ির আলগোছে জল খেতে গিয়ে
ভিজে যায় আমার খোঁচা দাড়ি;
ছুটে যাবো তোমার চিবুক মনে করে
যখন'ই লাগবে একঘেয়ে তোমার
দিয়ো আমায় হালকা ডাক।।।
নিষ্কর স্মৃতিপথ
আমার অন্ধকার
~সৌরভ ঘোষ
নিঃসঙ্গতার হাত ধরে..
অন্ধকার গলিপথ বেয়ে যখন হাঁটি-
উতলা বাতাসের এলোমেলো ছুটোছুটি,
পুরানো বাড়িগুলোর ফিসফাস,হাসাহাসি
অনুভব করি.......
নর্দমার পচা গন্ধের বাধা কাটিয়ে-
পা রাখি গলিপথ থেকে রাজপথে।
কানে শিস দিয়ে যায় মুক্ত বাতাস,
দূর থেকে ভেসে আসে ঢাকের আওয়াজ,
আলোর রেখা ধরে এগিয়ে দেখি-
বটের নকল ঝুরিতে সাজানো অভিনব থিম,
ফেলে আসা বেতো গলি.....
আটপৌরে সাদা কাপড়ে শুক্ল অসুরদলনী।
কৃত্রিম ঝিঁঝিঁর ডাক পেরিয়ে-
বিমূঢ় আলোর পিছনে,
খুঁজে পাই স্বস্তি, আমার ব্রাত্য বস্তি.............
দেওয়াল
দেওয়াল
~জয়িতা ভট্টাচার্য
অনেকটা সময় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিই
কিছুটা হেঁটে বা অকারণ বাক্যগঠনে
বেশ কিছু সময় খেলনাবাটি চরুই
বাসায়......
তারপরেও বেঁচে যায় অগুন্তি মুহূর্ত
ঘন্টা মিনিট সেকেন্ডের সারিবদ্ধ মিছিল ।
সেসব সময় কাজে লাগাই দেওয়াল গেঁথে
কাঁচের অথবা পাথরের ।মাটি বা ইঁটের দেওয়াল
ঘঁেষাঘেঁষি জড়াজড়ি লুটোনো
দোটানার মাঝে তুলে দিতে থাকি পাঁচিল ।
সম্পর্কের মাঝে স্বচ্ছ দেওয়াল।তারপরে
ঘন্টা বেজে গেলে ,শেষবার
চোখ ফিরিয়ে দেখে নিতে চাই
আমরা সত্যিই ঠিক ঠাক দূরত্বে
এসেছি কিনা ।
____জয়িতা ভট্টাচার্য
সারারাত আড্ডা
সারারাত আড্ডা
~অমিত পাটোয়ারি
~অমিত পাটোয়ারি
পথে পথে ঘুরলাম সারারাত
আউড়িয়ে সুনীল ও ভিনসেন্ট
ব'সলো চাঁদের হাটে ক্যাম্পেন
আউড়িয়ে সুনীল ও ভিনসেন্ট
ব'সলো চাঁদের হাটে ক্যাম্পেন
ঝোপঝাড় এখানেও ম'জে খুব
নীলচে আলো কিছু জ্বলছে
কারও প্রেম, কারও কিছু রাগ গলছে
নীলচে আলো কিছু জ্বলছে
কারও প্রেম, কারও কিছু রাগ গলছে
কিছুদূরে আমরাও ব'সলাম
মাটিমুড়ে শালপাতা বিছানা
অভিমান কার তাও অজানা !
মাটিমুড়ে শালপাতা বিছানা
অভিমান কার তাও অজানা !
আলোচনা জমেছিল সারারাত
বিনিময়ে হৃদ্যতা প্রাঞ্জল
ভিনসেন্ট আঁকলেন অবিকল।
বিনিময়ে হৃদ্যতা প্রাঞ্জল
ভিনসেন্ট আঁকলেন অবিকল।
Subscribe to:
Posts (Atom)