ব্লগ সম্পর্কিয় কথা

স্বরচিত কবিতা এবং অনুগল্প পাঠান , সপ্তাহের সেরা নির্বাচিত লেখাগুলো ব্লগে পোস্ট করা হবে।

Friday 27 July 2018

জন্মান্তর

জন্মান্তর
     ********
~শুভদীপ পাপলু

দেখি,আলপিন দিয়ে আঁকা,
ঠোঁটে জং ধরা বিদ্রোহ।
বেলা;ইজরায়েল-এ ঘর বানাও,
পরমানু তো তোমার তৈরী মোহ!

দেশ হয়ে গেছে ঘর ছাড়া,
যারা হুজুর নামে'তে ডাকতো--
তারা পুলিশে পড়েনি ধরা,
তারা মরে গিয়ে নিশ্চিন্ত।

ঝরে ঘাতক কবিতাসূচি,
নদী বয় না কুমারী গালে।
শুধু হোমো কঙ্কাল খুঁজি--
লিখিত পাহাড়ী ভেড়ার পালে।

আসে,সড়কের বুকে শ্রাবণ।
সত্যি,দেখতে তোমার'ই মতো।
তবে সন্দেহে আজ চাইবো,
এক উলঙ্গ রাজার ব্রত।

চলো,সন্ধ্যে সময় ম্যাপে,
চাঁদের গায়ে চাঁদকে লাগাই।
পাগল কী আর সাধে ক্ষ্যাপে?
বন্ধ্যা পেনিসে দাবানল চাই...

চুঁচুড়া'র মাঠ,সুখী লোকজন,
ও'রা অ্যাস্ট্রোলজি'ও করে--
দশ হাতে দশ হাত রেখে দেখো,
শাস্ত্র ঘেঁটে ওরাই ফিরবে হেরে।

বেলা-বারবার আমাকে ছেড়ো,
লড়াই-হাসপাতালে,ট্রমা'য়।
আগুন;তুমি পুড়িয়ে ফেলো আরও...
এভারেষ্ট হোক, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়!



তোমার নোলক হয়ে

তোমার নোলক হয়ে
~নুরুল ইসলাম বাবুল

আমারও আছে বেদনার দিন
অহরহ বুকের ভেতরে নামে রাতের আঁধার,
তবু হেঁটে আসা ঢেউয়ের কাছে শুনি সাগরের বৃত্তান্ত;
দেখি, ফেলে আসা শস্যবীজ
সোনা হয়ে ফিরে আসে কৃষকের হাতে।

ক্ষতগুলো আমাকেও টেনে নিয়ে যায়
বারবার হয়ে উঠি শুকনো নদী
তবু আমি দখিনা হাওয়ায় খুঁজি জলের কণা,
শরতের নীল-নীল আকাশে তুলো মেঘ
উড়ে যেতে-যেতে ফিরে আসে কিশোরীর পায়

অতঃপর আমিও পুড়ে যেতে-যেতে
ফিরে আসি তোমার এক রত্তি নোলক হয়ে।





না বলা কথা

কবিতা--(১)-- " না বলা কথা "
~বলাই দাস,  কুয়েত(আরব)
                       """""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""

বুঝিনা-
বুকের কোঠরে এত দুঃখরা কেন বাসা বাঁধে
চোখের ভেতর কি গরম বরফ থাকে.....
যখন তখন--
গলে পড়ে পাতার ছাউনি কুঁড়ে ঘরে
সূর্যদেব--
কেবলি উঁকি মারে, না পাওয়া প্রিয়া বিরহ-বিচ্ছেদে
মনের কথা--
ঠোঁটের সমভূিতে এসেও থমকে যায় সহজাত ভাবে
শতকষ্টের মাঝেও জেগে ওঠে তোমায় না পাওয়ার স্মৃতি
অবশেষে--
সব সমীকরণ ভুল প্রমাণিত করে শ্রাবণী পূর্ণিমারাত
পুনরায় গোড়াপত্তন করে মৌসুমি বায়ু
সুপার সাইক্লোন দেখিনি, শুনেছি--
পরিবর্তন এলো তোমাকে কাছে পেয়ে
সব বিষাদময় বিদায় নিলো আমাদের জীবন থেকে----
এখন কেবলি জেগে ওঠে মনের মাঝে
অজন্তা ই লো রা বা খাজুরাহের গুহাচিত্র
তুমি ব্যাস্ত হয়ে আঁচল দিয়ে আমার মুখের ঘাম মোছালে
মুখমণ্ডলে সোহাগ ভরে ইচ্ছে মতো .....
শরীর ঘেঁষে বসলে কাছে না বলা কথারা বন্ধু হলো।
            ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

নামঃ---  বলাই দাস,  মোবাইলঃ-- ৯৬০৯৭১৪৬৬৩.
গ্রামঃ---  শান্তিপুর,
ডাকঃ---  মে চে দা,
জেলাঃ--- পূর্ব মেদিনীপুর
পিনঃ----  ৭২১১৩৭.

শুভদীপ চক্রবর্তীর দুটি কবিতা

১)

#ঈশ্বর
#শুভদীপ

খুঁজেছি তোমাকে মরু প্রান্তরে/
কখনো বা দ্বীপ থেকে দ্বীপানন্তরে।

খুঁজেছি মন্দিরে, মসজিদে বা গির্জায়/
কীর্তনে, আজানে বা প্রার্থনায়।

চেষ্টা করেছি পেতে তোমাকে গানে গানে/
না বুঝে তোমার সত্যিকারের মানে।

ভজন, সুফি বা যীশু সঙ্গীতের মূর্ছনা/
তোমায় খুঁজতে গিয়ে সয়েছি অনেক লাঞ্ছনা।

ধূপ, দীপ, ফুল বা মালা/
সাজিয়েছি তোমার জন্য কতোবার ডালা।

কখনো বেঁচেছি, কখনো বা মরেছি/
তোমার জন্য নিজেকে ভেঙেছি আর গড়েছি।

অবশেষে পেয়েছি তোমায়, মানুষের কাজে/
মানুষ হয়ে মানুষেরই মাঝে।

ওই শোনা যায় বিবেকের বাণী/
দূর করো তোমায় নিয়ে এত হানাহানি.....                                       
"জীবে প্রেম করে যেই জন
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর,
বহু রূপে সম্মুখে তোমার
ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর"।।
............................................................... 

২)

#তোর শহর.                                                                       #শুভদীপ                                                                                
তোর শহরে থাকতে চাইনা আর/
শুধুই যন্ত্র আর যান্ত্রিকতার ভিড়/
এখানে মানুষ খায় মানুষের মাথা/
মানব মননে ধরেছে আজ চিড় ।।

তোর শহরে থাকতে চাইনা আর/
এখানে প্রেমের দাম দেয়না কেউ/
ছুটছে সবাই ভালো - বাসার তরে/
ঈদে দরিদ্রের জোটে শুধুই সেউ।।

তোর শহরে থাকতে চাইনা আর/
টাকার পিছনে মানুষ আর তার পিছনে টাকা/
বিসর্জন হয়েছে এখানে মনুষ্যত্বের/
অনুভূতির স্তর গুলো আজ সব ফাঁকা।।

তোর শহরে থাকতে চাইনা আর/
এ শহর শহর নয়, শুধুই মরুপ্রান্তর/
বন্ধু বন্ধু কে ভুলছে এখানে/
বিবেকের ঘটেছে আজ দ্বীপান্তর।।
..........................................................
শুভদীপ চক্রবর্তী
9830331927
Amherst Street PHE
57 Raja Rammohan Roy Sarani, D-30, 2nd Floor, Kolkata - 09

মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীনের দুটি কবিতা

কবিতা: ০১
------------------
               বর্ষার হাসি
      মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন
বর্ষা নতুন সাজে সাজায় প্রকৃতির রং,
প্রকৃতিতে ফিরে আসে সজীবতা।
গ্রীষ্মের তাপে মাঠ-ঘাট ফেটে হয় চৌচির,
বর্ষায় ফিরে আসে সেই সজীবতা।
গাছে গাছে সবুজ পাতা,
আর নানা ফুলের সমারোহ।
জমিতে জমিতে ধান,
কৃষকের মুখে হাসির বান।
প্রকৃতি এক অপরূপ সৌন্দর্য গড়ে ওঠে,
আর মানব মনে বয়ে আনে আনন্দের জোয়ার।

কবিতা:০২
---------------
      বর্ষার কষ্ট
মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন
বৃষ্টির পানিতে রাস্তাঘাট থৈ থৈ,
বাইরে বের হওয়া কত কষ্ট?
প্রয়োজনের তাগিদে বাইরে যেতে হয় তবুও।
রিক্সা-সিএনজি চালকের কাছে,
যাত্রীদের গুনতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া।
দিনমজুররা হয় ঘরে আবদ্ধ,
দুঃখের সীমা থাকে না তাদের।
গরীবের ভাঙা চালা দিয়ে,
পানি পড়ে ভেসে যায় ঘর।
বর্ষার দিনে কাঁচা তরকারির দাম বেড়ে,
মধ্যবিত্ত ও বস্তিবাসীদের বেড়ে যায় কষ্ট।
কবিতা প্রেরক:
মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন
ঠিকানা:
C/O, মাওলানা মন্জিল, চন্দনাইশ পৌরসভা, ওয়ার্ড নং ০২, পূর্ব জোয়ারা (৪৩৮০), চন্দনাইশ,চট্টগ্রাম,বাংলাদেশ।

সঞ্জয় দাসের তিনটি কবিতা

১..সেদিন সৈকতে......

 সাগরের নোনা জলের ঢেউ,
আমার  ক্লান্তিহীন মনের  একছত্র আকাশে।    দূরে বিস্তীর্ণ হাতছানিতে  ডাকে কেউ
নোনার পাতার তিরতির উজ্জ্বল বাতাসে ।

একাকী  নিদ্রাবিহীন  অশ্রু চোখে 
অনেকটা সময়ের অভিঘাতের বেদনায়
নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি অনেকের সম্মুখে ,
শতবাধায় শতদলের আনন্দের
নীল কামনায় ।

অসংখ্য বালির ভিড়ে 
ফুটে ওঠা কয়েকটা মাথা,
নাম না জানা জলচর  প্রানি
থিতিয়ে পড়া বালির স্তুুপে,
দূরে একাগ্রচিত্তে কয়েকটা বিক্রেতা
তাদের বিষন্ন ব্যথা।
মাঝে মাঝে বলে যায়
মনের কথা
জলের কলতানে।

হারিয়ে যাওয়ার ভিড়ে,
ছিলাম মোরা একা
যেদিকে তাকায় পাই না দেখতে
কোথাও একটু ফাঁকা,
আঙিনা ভাঙা মনের দুয়ারে
দোকান পেতেছে কারা ।
এলিয়ে দিয়ে শরীর মোরা
বালির স্তুুপে শয়ন করা ।             


২.    মৃত্যুর স্রোত
        --------

অভ্রান্ত মনের সংক্ষেপিত
ডানাকাটা ইচ্ছেগুলো
মুখে লেগে থাকে
শোষনের পরিধিতে,

রাত্রি জাগা
উদভ্রান্ত মনের সতর্কতা
অস্থিরতায় প্রহর গোনে ।

শব্দের লীলা খেলায় মেতে ওঠা
একটা দল
অধিকার  কায়েমের
জোরালো অহংকার নিয়ে -

পরিবর্তনের আশ্বাসে
বাজী রাখা জীবন
গলতে থাকে মৃত্যুর রক্ত স্রোতে ।


৩.   রাত ডাকা
       ------------

একটা স্বপ্ন
কয়েকটা মানুষের সাদা মাথা
চারিদিকের নিস্তব্ধতা
এগিয়ে আসে
কাঁপানো কণ্ঠে
বিস্তীর্ণ সবুজের হাহাকারে

শায়িত হাড় থেকে খসে যাওয়া
মাংশের ঘ্রাণ  নিতে
ছুটে আসা পিশাচের দল
রক্ত দাঁতে উল্লাসিতার উন্মাদ ,

মাটির তলে
নয় খুব গভীরে,তারই ওপর
শোনা যায় পত্রের শিহরণ
ঝিঁঝির ক্রন্দন আর
বাদুড়ের চিৎকার ।

নাম: সঞ্জয় দাস
ইন্দা,খড়গপুর
পশ্চিম মেদিনীপুর
৭২১৩০৫



ধর্মের অনুশাসন

ধর্মের অনুশাসন
~সত্য স্বরূপ গোস্বামী

ধর্ম কি আর ধর্ম কোথায় এই নিয়ে রোজ যুদ্ধ বেজায়
মানুষের প্রাণ মানুষই নেয় ধর্মের নামে প্রহসন হয়
সর্গ কোথায় পরকালে কি এই নিয়ে ভাই তর্ক বেজায়
কে কি খাবে কি পরবে থাকবে কোথায় কার সঙ্গে
সেসবই নাকি ধর্ম শেখায়
আসল ধর্ম ভুলছে সবাই
সমাজ ভুলে মানুষ এখন মূর্তি নিয়ে দেদার মোজে
স্বার্থান্বেষী মানুষ কিছু ধর্ম বেচে দেদার মজায়
আসল ধর্ম মানব ধর্ম এই কথাটি ভুলছে সবাই
মানুষ মাঝেই দেবতা আছে সেবা কর সবে মিলে
আর্তের সেবাই আসল ধর্ম
আর্ত সেবায় মগ্ন থেকো



কমনম্যান (অণুগল্প)

""কমনম্যান""
#শুভম পাত্র

রাস্তার ভিড়ে কানে আসে লোকগুলোর ঠুনকো প্রতিশ্রুতি, মঞ্চের লোকটা মিথ্যা কথা দিয়ে কুড়িয়ে নিচ্ছে হাততালির ছর্ রা, আমি? বিরিয়ানীর লোভে দিলাম তালি ঠুকে, আমি দাদা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে রাস্তা ঘোরা মানুষ, বেসরকারি চাকরি,মাথায় হাজার চিন্তা, ফ্ল্যাটের লোন, মেয়ের স্কুলের খরচ,বউ এর আবদার আরো কত কি, প্রতিদিনের এই মিথ্যাবাদীদের খেজুর আলাপে মন দেওয়ার সময় নেই,যে যখন ইন চলছে তাদের একটা ভোট ঠুকে ই আমার দায়িত্ব শেষ, ধুস আমার মনোভাবের বদলের দরকার নেই,বছর বছর সরকারের বদল চাই, তবে দেওয়ালের আয়নায় মাঝে মাঝে চোখ আটকে যায়, ফিরে দেখি নিজের চরিত্রটাকে, পৃথিবীর মঞ্চে কি সুন্দর ই না কাঠপুতুলের মতো নাচছি,কি সুন্দর ই না পাওয়া না পাওয়ার তুল্যমূল্যের বিচারে সম্পর্ক গুলোর প্রাইস ট্যাগ বসাচ্ছি, আমি আজকের কমনম্যান, সাদা ডোরাকাটা কোটটা যুগোপযোগী হতে খুলে ফেলেছি, তবে আজও আমি কমিক্সের নিষ্প্রান চরিত্রটির মতো, বরং সমাজের বিষাক্ত ছত্রাকটা এখন আমার গায়ে ক্যান্সারের মতো বেড়ে উঠেছে, আজকের বিশ্বায়নের যুগে আমি কেবল নীরব দর্শক, প্লাস্টিকের ডিম ভাগাড়ের মাংস খেয়ে হজম করে দিব্যি ভাতঘুম দিয়েছি আমরা,আর সৃষ্টি করেছি আরো কোটি কোটি কমনম্যানের, ভুলে যান ওই কি যেন ছিল-ডোন্ট আন্ডার এস্টিমেট দ্য পাওয়ার অফ আ কমনম্যান,কারন আমার দলে আপনিও তো আছেন, শুরুতেই নাহলে দশজনের পরে



মুখোশ

মুখোশ
~সুশান্ত অধিকারী

রাস্তায় প্রচুর গাড়ি ঘোড়া...
জীবন নামী বাসটা যেন এদিকেই আসছে..
দেরী না করে উঠে পড়লাম বাসে.... 
ঘড়ির কাটার রদ বদল হল...
একে বারে গন্তব্য স্থলে এসে দেখলাম
একটাও মুখ নেই আর সবই মুখোশ...
পা কাঁপতে লাগল ভয়ে..
মাথা ঘুরতে লাগলো..
কেমন যেন হারিয়ে যেতে লাগলাম মুখোশের ভিড়ে....
সাথে হাত ধরলো মিথ্যে প্রতিশ্রুতি গুলো....
বাস্তবের রাস্তায় চায়ের এঁটো কাপের মতো গড়াগড়ি খেতে খেতে ভেঙে চুরমার হয়ে গেলাম....
অন্তিম পর্বে এসে বুঝলাম গাড়িতে ওঠা কতটা ভুল ছিল

#সুশান্ত



সুগঠনবিশিষ্ট পোষ্টগুলি