১) কে আমি !
রাণা চ্যাটার্জী
মধ্যরাতে মশকিনীর রক্তচুম্বনে ভাঙ্গলো ঘুম ,
পাড়ার দামাল ক্রিকেট বলের দস্যিপনার
স্মৃতি চিন্হ গায়ে মেখে গ্রিল বারান্দার এবরো খেবরো কাঁচ,রাগী দৃষ্টিতে যেন
আমায় কিছু বলতে চাইছে !
এক চিলতে অগোছালো ঘরের নোনা ধরা কার্নিশ ,
জাঁকিয়ে বসতে চাওয়া শ্যাওলা কে অবজ্ঞা , উপেক্ষায় পুর্ণিমার মোহময়ী জ্যোত্স্নাকে আপনকরে ডেকে এনেছে ফুল ছাপ চাদরে।
হটাত্ই দমকা ঝড়ো হাওয়ার মাতন ,
কোন অছিলায় ঘরে ঢুকে সব তছনছ , নাড়িয়ে দিয়ে গেলো থমকে যাওয়া,
নিশ্চল আমার হৃদস্পন্দন !
সব গুলোই বড়ো জীবন্ত যেনো ,
কেবল এই প্রাণ হীন স্থবির আমি ছাড়া !
পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে কবেই অস্তমিত ,
বড়ো প্রিয় শরীরী খোলস মায়ার বাঁধনে
সাঁতার কাটে ভাবনায় ।
* * * * * * *
২) জীর্ণ তক্তা
রাণা চ্যাটার্জী
ভিজে কাঠের পুরোনো জীর্ণ তক্তা
সোঁদা মাটির গন্ধ গায়ে মেখে অবিশ্রান্ত
ধারায় ভিজেই চলেছে, বাড়ির বটবৃক্ষ মানুষটার মতো ঝড়
ঝাপটা ,ঘাত প্রতিঘাত সামলে ।
মরচে পড়া পেরেকের অস্তমিত দম্ভ
রোগ গ্রস্থ মানুষের প্রতিবিম্ব স্বরূপ !
মৌন মুখর ঝড়ো বাতাসের গোত্তায় ,
সাথ দিয়েছে বাড়ন্ত বৃষ্টির তীব্রতা।
ভিজেই চলেছে জীর্ণ তক্তা
শত সহস্র স্মৃতি ,গল্পের কোলাজ রোমন্থনে!