ব্লগ সম্পর্কিয় কথা

স্বরচিত কবিতা এবং অনুগল্প পাঠান , সপ্তাহের সেরা নির্বাচিত লেখাগুলো ব্লগে পোস্ট করা হবে।

Friday 3 August 2018

রাণা চ্যাটার্জীর দুটি কবিতা

    ১) কে আমি !
             রাণা চ্যাটার্জী

মধ্যরাতে মশকিনীর রক্তচুম্বনে ভাঙ্গলো ঘুম ,
পাড়ার দামাল ক্রিকেট বলের দস্যিপনার
স্মৃতি চিন্হ গায়ে মেখে গ্রিল বারান্দার      এবরো খেবরো কাঁচ,রাগী দৃষ্টিতে যেন
                   আমায় কিছু   বলতে চাইছে !

এক চিলতে অগোছালো ঘরের নোনা ধরা কার্নিশ ,
জাঁকিয়ে বসতে চাওয়া শ্যাওলা কে অবজ্ঞা , উপেক্ষায় পুর্ণিমার মোহময়ী জ্যোত্স্নাকে আপনকরে ডেকে এনেছে ফুল ছাপ চাদরে।

হটাত্ই দমকা ঝড়ো হাওয়ার মাতন ,
কোন অছিলায় ঘরে ঢুকে সব তছনছ , নাড়িয়ে দিয়ে গেলো থমকে যাওয়া,
                  নিশ্চল আমার হৃদস্পন্দন !

সব গুলোই বড়ো জীবন্ত যেনো ,
কেবল এই প্রাণ হীন স্থবির আমি ছাড়া !
পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে কবেই অস্তমিত ,
বড়ো প্রিয় শরীরী খোলস মায়ার বাঁধনে
                      সাঁতার কাটে ভাবনায় ।
                    * * * * * * *

       ২) জীর্ণ তক্তা
               রাণা চ্যাটার্জী

ভিজে কাঠের পুরোনো জীর্ণ তক্তা
সোঁদা মাটির গন্ধ গায়ে মেখে অবিশ্রান্ত
                        ধারায় ভিজেই চলেছে, বাড়ির বটবৃক্ষ মানুষটার মতো ঝড় 
            ঝাপটা ,ঘাত প্রতিঘাত সামলে ।

মরচে পড়া পেরেকের অস্তমিত দম্ভ
     রোগ গ্রস্থ মানুষের প্রতিবিম্ব স্বরূপ !

মৌন মুখর ঝড়ো বাতাসের গোত্তায় ,
         সাথ দিয়েছে বাড়ন্ত বৃষ্টির তীব্রতা।
              ভিজেই চলেছে জীর্ণ তক্তা
শত সহস্র স্মৃতি ,গল্পের কোলাজ রোমন্থনে!






শাওনা

শাওনা :
--------------------© সোহাগ

কোলকাতার অভিমান হলে, আকাশে মেঘ জমে।
সকাল, দুপুর, বিকেল ছাপিয়ে, বৃষ্টি পড়ে অবিরত।

জল জমতে থাকে, এগলি, ওগলি, এ রাস্তা, সে রাস্তা....
প্রেমিকের ছাতা উড়িয়ে, হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নেমে আসে প্রেমিকার শরীরে।
কাকগুলো প্রচন্ড ভিজে, আশ্রয় খুঁজে নেয় পাতার তলায়....
যানজট বাড়ে রাস্তায়..... বৃষ্টি ও......

মন ভাঙে কারো, কারো মন জুড়ে যায় অন্যতে....

খিচুড়ি, ইলিশ, স্যাডসং....  শহুরে মানুষ গুলো, দিব্যি কাটিয়ে নেয় দিন টা।

অনেক রাতে, কোলকাতার কান্না পেলে,

শহর জুড়ে শ্রাবণ নেমে আসে।।

বছর তিরিশ পরে

বছর তিরিশ পরে        
 ~অনুকনা পান


আজ তিরিশ বছর পর
         নতুন কোনো গন্ধ নিয়ে
এসো আবার ফিরে ।।

আসুক সেই অমোঘ বিদায় বেলা
         আবার আসুক ফিরে
পুরানো প্রত্যাখ্যান হার মানুক
           আজ নতুন আলিঙ্গনের ভিড়ে ।।।
দশমীর বিস্বাদ মাখা সিঁদূর
         কিংবা তিস্তার ভেজা কূলের  তীরে
          রাঙা হোক আজ নতুন করে সব
          নতুন কোনো অনুভূতিকে ঘিরে ।।।
তুমি শুধু কঠিনটাকে খোঁজো
       বাস্তবের প্রকৃত প্রেমিক তুমি
অসহায়তায় পুড়ছি আমি রোজ
     নিজেকে শুধু ভুল বোঝাই আমি।।
তবে ভুলের জোরেই বাঁচছি তিরিশ বছর
   ভাবি শুধু দূরত্বকে ভুলে
নতুন করে আমায় আকড়ে নিতে
     আবার তুমি আসবে, আসবে আবার ফিরে ।।।

নাম-অনুকনা পান
ঠিকানা-বেগড়ী, হাওড়া


রূপান্তর

# রূপান্তর
~দেবস্মিতা দে

চোখ বুজে যে ছেলেটা সেদিন সদ্য প্রেমেপড়া মেয়েটার মুখটা দেখতে পেত, সে আজ দিনের শেষে পাশ ফেরে ক্লান্ত হয়ে।
প্রথম যখন মেয়েটার মন খারাপ হয়েছিল,সে তখন তাকে হাসিয়েছিল প্রাণখুলে।আজ আর সময় হয়না তার মনকে শোনার।
বসন্তের বিকেলে সেদিন ছেলেটা প্রথম ধরেছিল মেয়েটার হাত,তারপর কত বসন্ত এসেছে,আসেনি অনুভূতিরা।
আজ সারাদিনের শেষে ওরা ভাগ করে নেয় কাজ,একে অন্যকে এগিয়ে দেয় জলের গ্লাস।ইচ্ছে করেই মিটিয়ে নেয় মান অভিমান।
অনুভূতিরা আজও আসে, অন্যরূপ ধরে।


নবীনবরণ

নবীনবরণ___
সোমনাথ চক্রবর্তী___

মহাজাতিকা, তোমাকে বরণ করার অপেক্ষায়,
দুয়ারে সাজিয়েছি রক্তকরবীর নির্যাস।
কোনো ব্যর্থ ললনার গীতবিতান থেকে,
এক ফোঁটা মহৌষধি নিয়ে রেখেছি।
অবক্ষয়ের সমুদ্র ধুয়ে শিশিরবিন্দু নিয়েছি,
তলিয়ে দিয়েছি তোমার ফুল কুড়োনোর পথঘাটে।
নতুনত্বর মুকুল আনুক ঝড়ে,
তোমার বসন্তের মল্লিকা কাননে।
আমি পৌঁছে যাবো কালপুরুষের কাছে,
প্রহরী হওয়া শিখে নেবো লহমার ক্লান্তি ধুয়ে।
তারপর, অবিরাম থাকবো তোমার নবীনবরণের অন্তঃপুরে।



আমার গ্রাম

আমার গ্রাম
~অনুপ হালদার


কত  দিন  পরে
          আজ  যাব ফিরে
আপনার  ছোটো  গাঁয় ,
       ফিঙে  বুলবুলি
যেথা  করে  কেলি
    টিয়া  বসে গান  গায় ।
কল   কল  ছন্দে
       আপন আনন্দে, 
বয়ে যেথা  নদী ইছামতি ।
       যেখানে সবুজ ঘাসে
ভোরের  শিশির এসে,
    গেঁথে  দেয়  মুক্তার মালা ।
যেখানে পল্লীবালা
      ধুলা মেখে করে খেলা ,
ভুলে গিয়ে দিন  কিবা রাতি ।
   যেখানে তুলসী তলে
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বলে ,
    শোনা যায় আজানের সুর ।
পল্লী ললনা  চলে -
     শরমে মুখ না তুলে ,     রিনি ঝিনি বাজে তার চরণ  নূপুর ।
যেখানেতে  পিক তানে
  গান আনে প্রাণে মনে
সেখানেতে যাব ফিরে আমি ,
যেখানে কিশোর বেলা
খেলেছি কত যে খেলা
সে মাটিকে শতবার নমি ।
            ________
      
                    -  অনুপ হালদার

বাংলা ভাষা

*বাংলা ভাষা*
~অর্ণব দে

অতুল আমার ক্লাসেই পড়ে,
এ বারের ন্যায় প্রতিবারই সে first হয়।
আমি আবার mediocre,
তাই বাবা মা-র বকুনিই খেতে হয়।।
ও পেয়েছে 90%,
সবেতেই ওর লেটার মার্কস্।
আমার নম্বর বেজায় খারাপ,
কোনো রকমে পাশ মার্কস্।।
ও এখন বড়ো কলেজে,
Admission -এর লাইনে দাঁড়িয়ে।
সেখানে আমি পাইনি সুযোগ,
ওরা আমায় দিয়েছে খেঁদিয়ে...তাড়িয়ে।।
ওখানে optional -এ ইংরেজিরই চল।
আমার আবার বাংলাটাই সম্বল।।
আমি তাই ছোট কলেজে পড়ি,
এখানে চলে সবই,
নেই ভাষার দড়ি টানাটানি আর হুড়োহুড়ি।।
তবে সময়ের সাথে শিখেছি ইংরেজিটাও,
বর্তমানে সবের সাথে দরকার জানি সেটাও।।
আমি সেদিন লেকের ধারে বসে,
টান দিচ্ছি বন্ধুর charminar-এ ---ফ্রিতে।
হঠাৎ দেখি অতুল ও অনেকের তর্ক বসেছে পাশেই,
উঠে এসেছে নারীবাদিতা feminism....সবটাই ইংরেজিতে।।
কিন্তু অতুল এখনও ভোলেনি বাংলা ভাষা,
তাই তো ওর Facebook, WhatsApp
বাংলা লেখা আর post -এ ঠাসা।।
আমি বললাম কিরে কেমন আছিস,
সব চলছে ঠিক?
ও দেখলাম জবাব দিল না,
বোধহয় ইংরেজি debate -এর হিরিক।।
পরদিন সকালে ফোনে,
অতুলের message আসে।
Sorry ভাই বাংলা বললে,
ওরা আবার হাসে।।
আমি বললাম তবে যে অত বাংলা post?
বাংলাই নাকি তোর গর্ব,
প্রিয় নাকি তোর বাংলা বই?
ও বলে ধুর!
আমি তো এখন Shakespeare পড়ি,
বাংলা ভাষায় কদর কই??


দীপঙ্কর পাড়ুই'য়ের দুটি কবিতা

১)।। সেমিকোলন ।।
  ~দীপঙ্কর পাড়ুই

একা একটা গাছের তলায় বসে থাকে সময়
শুধু বসে থাকে।
বসে থকে মফস্বল
সেমিকোলন অবস্থান আমাদের ।
অধিবাস্তব ঘরবাড়ি উড়তে উড়তে
উপনিবেশ মরে যায়।
একা একটা গাছের তলায় বসে থাকে সময়
শুধু বসে থাকে
সেমিকোলনের মত ...


২)।। মানতের ঘোড়া ।।
  

আমি সেই মানতের ঘোড়া যে পড়ে থাকে চন্ডীমন্ডপে
গায়ে সবুজ শ‍্যাওলা পড়া স্থবিরতা ভালোবাসে
নির্জন গাছতলায় পাহাড়া দেয় মানতের ঘোড়া ।
দড়িঝোলা দড়িঝোলা ঝুলে থাকে মানতের ঘোড়া
মানত আর মানুষের মাঝে ঘোড়া এক সমন্বয় সাধন
সময় অসময় আমাদের পালটাতে হয় জীবনের ধরন-ধারন।


অভিমান (অণুগল্প)

অভিমান
~স্বেতা আইচ


আজ একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরল অভীক। তাড়াতাড়ি মানে রাত ১০টা আর কি। শ্রীময়ী কে সারপ্রাইজ দেবে। অনেকদিন পর……
বছর খানেক হতে চলল অভীক আর শ্রীময়ী সাতপাকে বাঁধা পড়েছে। কলেজের প্রথম দিন থেকে আলাপ, থুড়ি ভালো লাগা। সেই হিসাবে লাভ ম্যারেজ ই বলা যায়। শুধু প্রেম নয়, বলা যায় ওদের সম্পর্ক যেন এক দৃষ্টান্ত। দুজনেই ওয়েল এস্ট্যাবলিস্ড যাকে বলে ( এম এন সি তে কর্মরত, মোটা টাকা বেতন, নিজেদের ফ্ল্যাট, গাড়ি, গুড সেভিং…….)। কোন কিছুর ই যেন অভাব নেই ওদের পুঁচকি সংসারে। অন্তত ওরা তেমন টাই ভেবেছিল।
এতো গেল অতীত। এবার বাস্তবে আসা যাক। বিয়ের পর প্রথম প্রথম বেশ ভালো ই চলছিল। হানিমুন কাটিয়ে ফেরার পর থেকেই যত বিপত্তি। ব্যাপারটা একটু খুলে বলা যাক।
বিয়ে ও হানিমুন মিলিয়ে মোটামুটি ১৮ দিনের লম্বা ছুটি কাটিয়ে এসে দুজনেই যখন কর্মজীবনে ফিরে গেল, তখন ওরা নিজেদের একরাশ কাজের মধ্যে খুঁজে পেল। একটা করে দিন পেরোল, কাজের চাপ যেন পুকুর নদী পেরিয়ে মাঝ সমুদ্রে এসে পড়ল। ছুটির দিনগুলো কোন ফাঁক দিয়ে গলে যেতে লাগল তা টের ই পেল না অভীক ও শ্রীময়ী। সারাদিন শেষে দুজনে ঘরে ফেরে শুধু এটুকুই। একটা সময় দুজনে দুজনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সবরকম পরিস্থিতিতে একসাথে পাশাপাশি থাকবে। তাই ই তো চলছে, সকাল ৮টা টু রাত ৮টা।
আজ, ১৭ই এপ্রিল…ঘড়িতে ১০টা বাজল। শুক্রবার আজ, শ্রীময়ীর আগে ফেরার কথা। অভীক বেল বাজালো, আওয়াজ টা কতদিন পর যেন শুনলো। মাস্টার কী এর দৌলতে ওটার ব্যবহার তো প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। একবার, দুবার, তিনবার। বেলটা কি তবে খারাপ ই হয়ে গেল ? না ! ভিতর থেকে আওয়াজ তো আসছে। তাহলে শ্রী নিশ্চয়ই ঘুমিয়ে পড়েছে। তবে কি ও আজকের দিনটা ভুলে গেল? মনের মধ্যে একটা ব্যথা অনুভব করল অভীক। এতটাই কি দূরে সরে গেছে ওরা একে অপরের থেকে?
কিছু সময় চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকল অভীক। আবার বের বাজালো। নাঃ, কোন সাড়া শব্দ নেই। অগত্যা পকেট থেকে মাস্টার কী বের করে দরজা খুলে ফেললো। ড্রইং রুম টা অন্ধকার কেন? ও তো ভেবেছিল সারা ফ্ল্যাট জুড়ে আজ আর আলো থাকবে শুধু। কিন্তু কিছু ই যেন অভীকের মনের মতো হচ্ছে না আজ। বেডরুমে আলোটা জ্বলছে, তারমানে শ্রী ভিতরেই আছে। কিন্তু দরজা টা তাহলে খুলল না কেন? একরাশ প্রশ্ন বুকের মধ্যে নিয়ে অভীক ঘরে ঢুকল ঠিক ই কিন্তু এত তাড়াতাড়ি উত্তর গুলো পেয়ে যাবে আশা করেনি। বিছানায় চোখ বুজে শুয়ে আছে শ্রীময়ী। তবে এই পস্তাতে শ্রী কে আগে কখনো শুতে দেখেনি অভীক। অনেক বার ডাকলাম, সাড়া নেই। পার্স চলছে। শ্রীময়ী সেন্সলেস।
“আপনি সত্যি কিছু জানতেন না?”
“ট্রাস্ট মি ডক্টর, আই ডোন্ট নো এনিথিং অ্যাবাউট ইট!”
“এই হচ্ছে আপনাদের জেনারেশনের সমস্যা। সারাদিন শুধু কাজ নিয়েই থাকতে জানেন। দুটো মানুষ তাও ঠিক ঠাক খোঁজ খবর রাখেন না !”
মাথা টা নীচু হয়ে গেল অভীকের। সত্যি ওর বলার কিছু নেই। দুটো মানুষ পাশাপাশি থেকে ও এতটা দূরে কিভাবে সরে গেল বুঝতে ই পারেনি। জীবনের সবথেকে বড় খুশির খবর টা ও কিনা সে এভাবে পেল? হ্যাঁ, খুশির খবর ই তো! অভীক যে বাবা হতে চলেছে।
কেবিনের জানলার দিকে তাকিয়ে শ্রীময়ী। অভীক পাশের চেয়ারে চুপ করে বসে। একটা অসহনীয় নিস্তব্ধতা গোটা রুম টা জুড়ে। অভীক ই প্রথম স্তব্ধতার দেওয়ার ভাঙল,
“আমরা কি এই দিন টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম দুজন দুজনকে, শ্রী?”
“কতদিন পর শ্রী ডাকটা শুনলাম তোমার মুখে!”, অবশেষে কথা বলল শ্রী।
“এমনটা কেন হল শ্রী? কেন তুমি আমাকে এত খুশির খবর টা আগে দিলেনা? বলো কেন?”, শ্রী এর হাত টা নিজের হাতের মধ্যে টেনে নিল অভীক।
নিজেকে আর সামলাতে পারল না শ্রীময়ী। ভরা বর্ষার মেঘের মতো ঝরে পড়ল অভীকের শরীরে। দুহাতে জাপটে ধরল ওর ভালোবাসার মানুষটি কে। শেষ কবে এ আলিঙ্গন পেয়েছে অভীক জানে না। নিজের সবটুকু দিয়ে শ্রীময়ীকে আগলে রাখার নতুন প্রতিশ্রুতি টা মনে মনে নিয়ে নিল সে।
অভিমান, হ্যাঁ এটাই অভীক আর শ্রীময়ীর ছেলের নাম। কার্ডে তেমন টাই লেখা আছে-“ অভিমানের ১বছরের জন্মদিন উপলক্ষে আপনাদের নিমন্ত্রণ রইল।” খুব খুশি ওরা এখন। অভিমান যেন ওদের সকল অভিমানের প্রাচীর কে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়েছে। এখন ওরা পালা করে অভিমানের দায়িত্ব নিতে শিখেছে। নো একস্ট্রা টাইম ইন্টারনেট অফিস, একসেপ্ট হোম। অভিমান ওদের কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড থেকে ব্রেক নেওয়ার কারণ তো বটেই, সাথেই বেঁধে রাখার সুতোও এখন সে।
কখনো কখনো অভিমান যেমন দূরত্ব বাড়ায়, তেমন সব দূরত্ব মিটিয়ে দুটো মানুষ কে কাছাকাছি ও এনে দিতে পারে।
তাই সব সম্পর্কের আড়ালে কখনো কখনো কোথাও না কোথাও অভিমান থাকাটা শুধুমাত্র দরকার নয়, ম্যান্ডেটরি ও বটে।


Name- Sweta Aich
Address - Baranagar, Kolkata.



সুগঠনবিশিষ্ট পোষ্টগুলি