ব্লগ সম্পর্কিয় কথা

স্বরচিত কবিতা এবং অনুগল্প পাঠান , সপ্তাহের সেরা নির্বাচিত লেখাগুলো ব্লগে পোস্ট করা হবে।

Friday 25 May 2018

নিমন্ত্রণ

নিমন্ত্রণ
~ আমিনুর রহমান

ঘরময় অন্ধকার ও নিকোটিনের ধোয়া।আসিফের হাতে জ্বলন্ত cigarette‌।আসিফ কি যেন ভাবছে। হটাৎ কি মনেকরে সে মোবাইল ফোনটি ওয়ান করতেই ওয়াটস-অ্যাপে একগুচ্ছ এস,এম,এস জড়ো হল।সব এস,এম,এস গুলি রিয়া করছে।
" কি রে কোথায়?? তোকে call করে পেলাম নাহ??
তুই যদি না আসিস আর আমি কখনো কথা বলব না তোর সাথে??
Reply করছিস না কেন???..."
Notification বার শুধু এই টুকুই sms পড়া যায়।
রিয়ার সাথে তার ছোটবেলা থেকে তার বন্ধুত্ব।স্কুল,কলেজ,ইউনির্ভারসাটি সব এক সাথে।আজ তার বিয়ে। বিয়ে মানে তো খুব খশির ব্যাপার।কিন্তূ কোন এক অদ্ভুত কারনে আসিফের ভারি কষ্ট হচ্ছে।এই কষ্টের অনুভুতিটি সে প্রথম আবিস্কার করে যখন সোমা মুখে রিয়ার বিয়ে ঠিক হওয়া ব্যাপার টা জানতে পারে।আর তারপ‍র থেকে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তেই থাকে।আসিফ  চেষ্টা করে যত সম্ভব  রিয়া কে এড়িয়ে যেতে,অভ্যাস পাল্টাতে।তেমন লাভ হয়নি কিন্তূ সে টের পেয়েছে ইংরেজি 'লাভ'এর গাঢ় অনুভুতি।
                                       
আমিনুর রহমান
সালার ,মুর্শিদাবাদ



স্পর্শ

স্পর্শ
~বটু কৃষ্ণ হালদার


আজি এ প্রভাতে নিভৃতে একা কে তুমি?
উষ্ণ শরীরে দিলে শান্ত শীতল স্পর্শ
জুড়াইল, সুপ্ত মনের উষ্ণ কামনা বাসনা
শান্ত চঞ্চল হরিনী মন
আজি এ ক্ষণে তোমার শীতল স্পর্শ এ
হৃদয়ের একান্ত গোপন ইচ্ছা গুলি গোলাপের কুড়ির মত
অজান্তেই মেলেছে তার পাপড়ি খানি
ভ্রমরের আনাগোনা, অসময়ে বসন্ত ও এসেছে আনমনা হয়ে
অসময়ে বড় স্পর্ধা নিয়ে খুলেছে হৃদয়ের দক্ষিণ দুয়ার
লজ্জা ঘৃণা ভয় আজ বেমানান
উদাসী মন আবেশ নয়ন চারিপাশ ফিরিয়া ফিরিয়া চায়
যদি পাই সেই স্পর্শ, একটি বারের দেখা
নয়নের সাথে নয়নের মিলন
হব তাহার ই জীবন সখা
এক নিমেষের তরে এ স্পর্শে
না জানি কোন বহুদিনের পরিচয়
তবে কি তুমি সেই অচেনা বন্ধু?
শোনালে গো মিলনের বার্তা
আজি এ ক্ষণে হৃদয়ের দক্ষিণ দুয়ার খুলে
দাঁড়াইলাম সদর দরজার সামনে
যদি পাই ক্ষণিকের তরে তোমার পরশ
কি জানি?
তুমি কি আবার আসিবে ফিরে এই হৃদয়ের বাঁধ ভেঙে
নাকি এ আমার মনের ভুল
যাহার তরে ভাসিয়ে ছিলেম হৃদয়ের তরীখানি
নয়নের মাঝে অশ্রুধারায় আমি আজও তাহারই অপেক্ষায় আশায় বুক বাঁধী শুষ্ক বালু চরে
আবার পাব কি সেই স্পর্শ।

B.k halder
273 /3 m g road
Post_R. C thakurani
South 24parganas
Kolkata 700014
Ph 9830420904
8617255958

অরিন্দম আচার্যের দুটি কবিতা

১)**জীবন পথের সাথী**

সেভাবে কখনও ভেবে দেখিনি,
তুমি কোথা থেকে আসলে।
জরিয়ে মনের কথাগুলো বলে,
দুর্বার প্রেমে ভাসলে।
আমি বলিনি মনের কথা,
চেপেছিনু মন মাঝেতে।
তুমি বল কেন, অবহেলা করি
তোমার সন্ধা সাজেতে।
#
রাগ করে তুমি ফিরে ফিরে যাও,
কথা শেষ করা হল না।
ডেকে চলি পিছে, শুন একবার
মনে মনে অবহেল না।
সময় পাই নি, তাই তো বলেছি
দেখা করে কথা বলব।
ভালবাসা আজ মনে তোলা থাক,
এক সাথে পথ চলা।

২)**সকালের কথা**

না হয় বল, ভাল লাগে।
গেয়ে উঠি ভৈঁরো রাগে।
তোমার সাথে দেখা হলে, আসল কথা শুনি।
যদি তুমি এড়িয়ে চল,
রাগ করে কথা না বল,
বসে বসে ভেবে আমি স্বপ্নের জাল বুনি।
#
সত্যি তোমার মনের কথা,
গানের মাঝে ভরিয়ে খাতা,
ভাষার জালে হারিয়ে গেল, ভাল লাগার নেশা।
তুমি যদি আমায় বল,
ভালবাসায় জ্বালিয়ে আলো,
এটাই আমার মনের কথা, এটাই আমার ভাষা।
#
তুমি আমায় বললে, আমি
এই সময়ে এখন থামি।
কথাই যদি শুনতে না চাও, কি হবে আর বলে!
তবু তুমি জেনে রাখ,
যদি তুমি কাছে ডাক,
হারিয়ে যাব এমন করে তোমার মনের তলে।
#
কিছু কথা বলতে গেলে
জোর করে তা আটকে দিলে।
আমার কথা ভাবছ কেন, তোমার কাজের ফাঁকে?
আমি বলি, কি দরকার?
গানের তালে তাই জেরবার।
সত্যি করে বল তুমি, ডাকবে কাছে তাকে?

লেখক: অরিন্দম আচার্য
Phone: 9836866006
ঠিকানা: Vinayak Tower, 103/1A, Raja Dinendra Street, Flat – 1C, Kolkata - 700006



সৃষ্টি

সৃষ্টি
~সুশান্ত

প্রত্যকে শ্রষ্টার এক ধরন থাকে ...
তাই আপন সৃষ্টি কে সে অনেক বেশি যত্নে রাখে..
তুমি তো কেবল নকল করো...
আধা কেটে আধা তাপ্পি মারো..
বুঝলে মশাই হাসতেও যে মায়া লাগে...
ভদ্যতাটা শেখো আগে..
এর ওর কামড়ে আর কদিন..???
এ জগতে তো তুমিও স্বাধীন...
মিছে কেন নকলে মাতো??
তুমিও কিছু সৃষ্টি করো, না হয় সেটা নিজের মতো...


উপলব্ধি

।। উপলব্ধি ।।
          - - - - - - - - - - - - - - 

আয় আজ আবার মানুষ হয়ে যাই।
রাজস্থানের তপ্ত উঠোন থেকে
দড়ি টাঙাই মেঘালয়ের মেঘের কালোয়।
সিরিয়া থেকে নিকারাগুয়া হয়ে
পথ এঁকে দি আইসল্যান্ডের শান্ত বরফে।
কাঁকুরে পথে কোমর জড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে
পলাশের লাল গুঁজে দি প্রেমিকার কালো চুলে।
কুমোরের মাটির মত নরম শিশুর হাসিকে
বুলিয়ে দি ফুটপাথের ওই বৃদ্ধার ঠোঁটে।
বিদ্যুতের তার দিয়ে ভালোবাসা ছুটিয়ে
আলো জ্বালিয়ে দি প্রত্যেকটি বাড়িতে ।
কংক্রিটের দেওয়ালের উপর পরম যত্নে
লেপে দিই খড়মাটির প্রলেপ ।
অন্ধকারে আরও কিছু হ্যারিকেন জ্বালিয়ে
টাঙিয়ে দি রাতের আকাশে ।
সেই আদিম যুগ থেকে জেগে আছি নিজের জন্য।
এখন একটু ঘুম ঘুম পাচ্ছে ।
অনেক দিন তো কাটালাম অমানুষের মত
এবার একটু একঘেঁয়ে লাগছে।

                      - - - - - - - - - বিকাশ রায়



আনিসুর রহমান খানের ছড়া ও কবিতা

১)আষাঢ় মাসে
~আনিসুর রহমান খান

বৃষ্টি পড়ে ঝনঝনা ঝন
বৃষ্টি পড়ে চালে
বৃষ্টি পড়ে ছন্দ তালে
বৃষ্টি গাছের ডালে।
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর
বৃষ্টি পড়ে মাঠে
বৃষ্টি পড়ে নূপুর পায়ে
বৃষ্টি পড়ে হাটে।
বৃষ্টি পড়ে মধুর সুরে
বৃষ্টি পড়ে ঠাটে
বৃষ্টি পড়ে পুকুর জলে
বৃষ্টি নদীর ঘাটে।
বৃষ্টি পড়ে অফিস পাড়ায়
বৃষ্টি পড়ে চোটে
বৃষ্টি পড়ে সোহাগ নিয়ে
বৃষ্টি সবার ঠোঁটে।
বৃষ্টি পড়ে প্রতি বছর
বৃষ্টি মাটির ঘাসে
বৃষ্টি পড়ে জনম জনম
বৃষ্টি আষাঢ় মাসে।
----------------------------------

২)সেই তুমি
~আনিসুর রহমান খান

তুমি এসেছ আকাশের সবকটি দরজা জানালা খুলে
এই অসম্ভব চৈত্রের দুপুরে -
নীলিমায় জ্বালিয়ে তারাদের আলো।
তুমি এসেছ অভিনব নতুন জাগরণে ;
একদিন তুমি ছিলে সাজ সজ্জাহিন ভোরের কচি রোদ।
তখন তোমার আঙুলগুলো মনে হতো
আমার আঙুল
তোমার জ্যোতির্ময় চোখ দুটো মনে হতো
আমারই চোখ।
আজ এই দুপুরের কছম
তোমাকে বুকের মধ্যে নিলে মনে হয় না
সেই তুমি
কপোলে চুমু খেলে মনে হয় না
সেই তুমি
সব যেনো হারিয়েছ কোনো ঘোর অন্ধকারে
তুমি আর সেই তুমি নেই।
-----------------------------------------------------------
আনিসুর রহমান খান
গীতিকারঃ বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন
আজাদ ভিলা, বাড়ি নং -৬৮১
ব্লক নং - আই, ওয়ার্ড নং - ০৮
পারিজাত, কোনাবাড়ি, গাজীপুর, বাংলাদেশ।


আমাদের নজরুল


অামাদের নজরুল
~  চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু

বাংলার বুলবুল,
অামাদের প্রিয় কবি
বিদ্রোহী নজরুল।
লিচুচোর ভোর হলো
অারো কত ছড়া,
লেখাগুলো ভারি মজা
যেন রসে ভরা।
প্রতিবাদ ছিলো তার,
জেলে যেতো বার বার।
তবু কবি করতো না ভয়,
নির্ভয়ে লেখা লিখে
অানতো বিজয়।
সেই কবি মান করে
বলে নিতো কথা,
কেটে ছিলো চুপচাপ
বড় নীরবতা।
অামাদের সেই কবি
অাছে মন জুড়ে,
ভুলবো না কিছুতেই
থাকুক যত দুরে
০০০০০০০০০০০০০০০০০
সাংবাদিক, কবি ও গীতিকার
বড় বাজার,চুয়াডাঙ্গা,বাংলাদেশ
মোবাইল ০১৮১৮-৩৪৩৯৩৬



মাসুদ বড়া 'র দুটি কবিতা

১)ধর্ষক কে?

রাতেরা চুপিচুপি কথা বলে
কান্নার সুর ওঠে,রক্ত ফিকে হয়ে যায়।
ওড়নার ফাঁসে টাটকা বিষদাঁতের কামড়,
আতঙ্কে গলিগুলোর চোখে ঘুম নেই
দিনের আলোয় তাদের মুখ ঢাকে মুখোশে
দিব্যি খবরে চোখ দিয়ে বলে “কি অদ্ভুত!”

(২)যৌনতার সুইসাইড

গিটারের কর্ড গুলো তোমার শরীরে
টুং টাং শব্দে একরাশ ব্যথা নিয়ে
খুব চেনা সুরে আলতো ছুঁয়ে যায়।
আবেগের ধোঁয়া মাথার উপর ঘূর্ণি খেয়ে ওঠে,
একটানা গুন গুন আওয়াজ
নেশাচ্ছন্ন প্রলাপে মালাবদলায় বাসী প্রেম
চাহনিতে জ্বলে ওঠে কামুক খড়ের স্তূপ
তীব্র মাথা ঘোরে,শরীরী “আমি” প্রাণ পায়
ইতস্তত যৌনতার স্রোত বাঁধ ভেঙে ছুটতে থাকে,
নিয়মিত ছেঁকা লাগে প্রতিটা অঙ্গে।
ঠোঁটের উষ্ণতা তবু অনেক পবিত্র,
চিনে ফেলে ধূর্ততা,মুখ গুঁজে কাঁদে
নেশা কেটে যায় সকাল বেলা।
শরীরী “আমি” হাসতে হাসতে ঘর ছাড়ে
আয়না লজ্জায় মুছে ফেলে ভিতরের রূপ
শরীরী “আমি” শঙ্কা জাগায় প্রতিনিয়ত,
অন্তর্বাসে ঢাকা থাকে চেতনার সুইসাইড নোট
মৃত্যুর পর প্রকাশ্যে কেঁদে ওঠো তুমি
শরীরী “আমি” হেঁটে চলি গিটার হাতে।

নাম:মাসুদ বড়া
ঠিকানা:হাটপুকুর, মেমারি,পূর্ব বর্ধমান
ফোন:8116844002


আমি এসে যাবো

______আমি এসে যাবো
         ____অমৃত  দে

তুমি তৈরী থেকো আমি এসে যাবো
কাপুরুষের বন্ধনে বাঁধা পরার আগে ।
তবে সে আসা নয় কোনো চোখের টানে আসা,
সে আসা নয় কোনো মুখের টানে আসা ।
আমি আসব সাদা কাফনে বন্দী হয়ে
তোমার সানাই এর সুরের মন্দ্রিত লয়ে ,
হয়তো খুঁজে পাবো শান্তির নিকেতন ।

তুমি তৈরী থেকো আমি এসে যাবো--
ফুটপাতের সাদা জানোয়ারটির
থাবা বসানোর আগে ,
যদিও সে আসা হবে নিষ্প্রাণ
সে হোক তবুও ধমণীতে স্পন্দিত হবে
যদিদং হৃদয়ং তব-----------------------

তুমি তৈরী থেকো
সময় হলে আমি এসে যাবো ,
সে আসা সংঞ্জাহীন হলেও
আমি দেখে নেবো চোখের কাজল ,
ছুঁইয়ে দেবো ঠোটের সজল
এ পূর্বরাগ-অনুরাগ-বিরহ
তখন আর সইবে না নিথর দেহ
সৃষ্টি সুখের আনন্দ মুখে মেখে
বিদায় দিও, চোখে ঢেকে তারা
আমার সব যন্ত্রনা হবে সেদিন সারা  ।।

কবিতা -অমৃত দে (শিক্ষক-বাংলা ভাষা ও সাহিত‍্য) গ্রাম-কালিকাপুর ,পোঃ-দ্বারুরী , বীরভূম ,পিন-731216 ,কানকথা-9932685701

সুগঠনবিশিষ্ট পোষ্টগুলি