১) রক্তোলাস
বালিশের ওয়ার থেকে কিছু গন্ধ খুলে নিয়ে ছিলাম
ঝকমারি জীবনটাকে পাটপাট চাদরের নিচে
তার অগোছালো কথা
অন্ধকারে খুলে যাচ্ছিলো চোখ--
চোখের মধ্যে যে স্বেচ্ছাচার, নিভুপ্রায় আলোকের মাঝ
আমরা চোখ বুঝে আছি।
রাতের পাখায় উড়ে যাচ্ছে অঢেল স্বপ্নপাত।
তোমাতে না পাওয়ার বিষাদ খোলস ছাড়ছে দেখো
লাল রঙ
পলাশ ও শিমুল ঠোঁট।
কিছু ঝড়ো হাওয়ায় এলোমেলো বীজ বুনে যাচ্ছে,
এস এটাই সময়, প্রণয়ের ফুল ছিঁড়ে প্রেমশয্যা পাতি
ভুবনের বিবর্ণতা ছিঁড়ে একটি রক্ত গোলাপ
বুকের ভালবাসা
অসংখ্য রক্তোলাস ভাঙছে !
২)গেঁড়ো
তে তলায় নয়, আরও ওপর থেকে
তোমায় দেখতে গিয়ে সব কিছু ভ্যানিশ,
শূন্যতার মাঝে আমার চোখ দিয়ে
বেরিয়ে উড়ে যাচ্ছে প্রজাপতিদল
তুমি দেহ কামনায় জড়িয়ে যেতে চেয়ে
আবার রং বানাচ্ছো।
হরিবোল থেকে উঠে আসছে কোমর দোলানো নাচগুলি।
ফচকে গিয়ে জন্ম নিচ্ছে ধারাবহ
নিশ্চিত ধরতে ধরতেও গেঁড়ো ছিঁড়ে যাচ্ছে--
ঘুরিয়ে বললে গালি হয়ে বেরিয়ে আসছে সমস্ত বেজন্মাদল।
৩) দেহ
স্পর্শ করেছো যাকে সে শুধু দেহ
সেখানে নাম নেই, পদবী নেই।
স্থবিরতা খুঁজতে খুঁজতে এক নির্জন পাগল
বুক খুলে রাখে--যেখানে অনায়াস কোন রং ঢুকে যেতে পারে।
দিবালোকের কথা ভুলে যায় রাত
রাতমন্থনে কি বিষ নাকি অমৃত উঠে আসে ?
একাধারে শয্যা বিলাসীর মুখে ধরা থাকে হর্ষ ও বিমর্ষ খেলা
স্বাগতম তুমি নারী, পুরুষের ফাঁদ পাতা থাকে জেনো
তবু দূরত্বের বেশিটাই হেঁটে যায় পুরুষ
হিংস্রতা ও গলে যাবার প্রবণতাও বুঝি জীবন
অথবা কঠোর পাথর ঘষে ঘষে তোমার রোমশ শরীর রেশা
বৃক্ষের কর্কশ দেহ ঘেঁষা। এখান থেকেই বুঝি কামনার জন্ম
অস্থিরতা ঘিরে লাল শিমুল পেঁচিয়ে উঠে আসে একটা ময়াল
নক্সী নাভি ছিদ্রে বাসা বাঁধে যে কীট
কুরে কুরে খাচ্ছে তোমার লাঞ্ছিত আশ্রয়--
তোমার গোপন ছেদ।
No comments:
Post a Comment